মনে হচ্ছে জিন্সটা হঠাৎ ছোট হয়ে গেছে, না? নাকি আয়নায় দেখে মনে হচ্ছে, “আরে, এই পেটটা কবে এত বড় হলো?” চিন্তা নেই, আমরা সবাই এই পথ পেয়েছি! ওজন কমানোর জন্য জিমে ঘাম ঝরানোর পাশাপাশি খাওয়ার হিসাবটা ঠিক রাখতে হবে। কিন্তু কত ক্যালোরি খাবেন? এটা কি আরেক হিসাবের পরীক্ষা? না, না, ভয় পাবেন না! আমরা এই হিসাবটা এত সহজ করে বোঝাবো, আপনি হাসতে হাসতে ফিট হয়ে যাবেন। চলুন, শুরু করি।

ক্যালোরির হিসাব
ওজন কমানোর জন্য প্রথমে জানতে হবে আপনার শরীর কত ক্যালোরি চায় যাতে ওজন না বাড়ে, না কমে। এটাকে বলে “মেইনটেন্যান্স ক্যালোরি”। যেমন ধরুন, আপনার শরীরের ইঞ্জিন চালাতে কত তেল লাগে, খাবার হজম করতে কত খরচ হয়, বা দিনভর এদিক-ওদিক হাঁটতে কত জ্বলে, এসব মিলিয়ে হয়। কিন্তু আমরা তো বিজ্ঞানী নই, তাই সহজ পথে যাবো
সহজ হিসাবের টিপস

- দু’সপ্তাহ খাওয়ার ডায়েরি লিখুন: আপনি যা খান, ভাত, ডাল, মাছের ঝোল, এমনকি চায়ের সঙ্গে পাউরুটি, সব লিখে রাখুন। ক্যালোরি হিসাব করতে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন, যেমন MyFitnessPal। দু’সপ্তাহ পর সব ক্যালোরি যোগ করে গড় বের করুন। এটাই আপনার মেইনটেন্যান্স ক্যালোরি, মানে এত খেলে ওজন ঠিক থাকবে।
প্রথম দিন লিখতে গিয়ে দেখবেন, “আরে, আমি তো এত খাই না!” তারপর ডায়েরি দেখে চোখ কপালে উঠবে!

- ওজন কমাতে ক্যালোরি কমান: এবার গড় ক্যালোরি থেকে প্রতি সপ্তাহে ২০০-৫০০ ক্যালোরি কমিয়ে ফেলুন। যেমন, আপনি দিনে ২০০০ ক্যালোরি খান, তাহলে ১৫০০-১৮০০ খান। কিন্তু হঠাৎ অনেক কমিয়ে ফেলবেন না, নইলে শরীর ভাববে, “আরে, দুর্ভিক্ষ লেগেছে!” তখন ওজন কমা বন্ধ হয়ে যাবে।
একটা সমুচা কম খেলেই ২০০ ক্যালোরি বাঁচবে। কিন্তু সমুচার দিকে তাকিয়ে কাঁদবেন না, বরং যেকোন একটা ফল খেয়ে নিন!

- শরীরের কথা শুনুন: ক্যালোরি কমানোর পর যদি দেখেন ওজন কমছে না, তাহলে আরেকটু কমান, কিন্তু খুব ধীরে। আর যদি খুব ক্লান্ত লাগে, তাহলে একটু বাড়ান। আপনার শরীর আপনার বন্ধু, তাকে রাগিয়ে দেবেন না!
এই সময়ে শরীর যেন বলে উঠে, “ভাই, আমাকে একটু ভাত দে, আমি তো তোর দলেই আছি!”

- একটু হাঁটুন, নাচুন: ক্যালোরি কমানোর পাশাপাশি একটু ব্যায়াম করলে ফলাফল দ্রুত পাবেন। লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন, বা বাড়িতে গানের তালে নাচুন। এতে ক্যালোরি পুড়বে, আর মনও ফুরফুরে থাকবে।
বাংলা গানে নাচলে ক্যালোরি বেশি পুড়বে, বিশেষ করে যদি পুরনো সিনেমার গানে পাগলের মতো লাফান!

ওজন কমানো কোনো রকেট সায়েন্স নয়, বরং একটা মজার খেলা। আপনার খাওয়ার হিসাব রাখুন, একটু কম খান, আর শরীরকে খুশি রাখুন। ধীরে ধীরে দেখবেন, জিন্সটা আবার ফিট হচ্ছে, আর আয়নায় নিজেকে দেখে বলছেন, “ওয়াও, আমি তো এখন অনেক ফিট!” চলুন, আজ থেকেই শুরু করুন। কমেন্টে জানান, আপনি কীভাবে শুরু করলেন, আর কোন খাবার ছাড়তে আপনার কষ্ট হচ্ছে (সমুচা, না পিজ্জা?)

