প্রতিটি ব্যায়াম—হোক সেটা পুশ-আপ, স্কোয়াট বা বার্পি—মূলত তিনটি উপাদান নিয়ে গঠিত: রেজিস্ট্যান্স (পেশি শক্তি), কার্ডিও (হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা) এবং অ্যারোবিক (ফুসফুসের কার্যকারিতা)। আপনি ব্যায়ামটি যেভাবে সম্পাদন করেন, সেটাই নির্ধারণ করে কোন উপাদানটি বেশি সক্রিয় হবে।
রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং: ধীরে, নিয়ন্ত্রিতভাবে
যখন আপনি পুশ-আপ বা স্কোয়াট ধীরে, সঠিক ফর্মে এবং নিয়ন্ত্রিতভাবে করেন, তখন এটি রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং হয়ে ওঠে। এইভাবে ব্যায়াম করলে পেশি শক্তি বাড়ে এবং শরীরের গঠন উন্নত হয়।
কার্ডিও ট্রেনিং: যত বেশি, তত ভালো
একই ব্যায়াম যদি আপনি যতটা সম্ভব বেশি রেপিটিশন করেন, তাহলে আপনার হৃদস্পন্দন বাড়বে, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হবে এবং এটি কার্ডিও ট্রেনিংয়ে পরিণত হবে। এইভাবে ব্যায়াম করলে সহনশীলতা বাড়ে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত হয়।
অ্যারোবিক ট্রেনিং: দ্রুত এবং ধারাবাহিক
যদি আপনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যতটা সম্ভব দ্রুত রেপিটিশন করেন, তাহলে এটি অ্যারোবিক ট্রেনিং হয়ে ওঠে। এইভাবে ব্যায়াম করলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে এবং শরীরের অক্সিজেন গ্রহণ ক্ষমতা উন্নত হয়।
সারাংশ: ব্যায়ামের ধরন আপনার হাতে
একই ব্যায়াম—পুশ-আপ বা স্কোয়াট—আপনি যেভাবে করবেন, সেটাই নির্ধারণ করবে এটি রেজিস্ট্যান্স, কার্ডিও বা অ্যারোবিক হবে কিনা। তাই, আপনার ফিটনেস লক্ষ্য অনুযায়ী ব্যায়ামের ধরন পরিবর্তন করতে পারেন।
