প্রিয় ফিটনেস ফ্রিক বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?
আজ আমরা জানবো একদম দারুণ একটা ব্যায়াম পদ্ধতি সম্পর্কে – হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং বা সংক্ষেপে HIIT! এই যে সবাই বলে জিমে যেতে হবে, ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যায়াম করতে হবে, HIIT-এর মাধ্যমে মাত্র ২০-৩০ মিনিটে হয়ে যাবে দিনের ওয়ার্কআউট!
বিগিনারদের জন্য HIIT ব্যায়াম
স্কোয়াট জাম্প – দাঁড়িয়ে বসুন, আবার লাফিয়ে উঠুন! (হ্যাঁ, এটাই ব্যায়াম)
মাউন্টেন ক্লাইম্বার – প্ল্যাংক পজিশনে পাহাড়ে ওঠার ভান করুন
বারপি – আমাদের সবচেয়ে প্রিয় টর্চার… মানে ব্যায়াম!
ইন্টারমিডিয়েট লেভেল
কেটলবেল সুইং – লোহার বল নিয়ে দোল খাওয়ানো (সাবধানে!)
জাম্পিং রোপ – বাচ্চাদের মতো দড়ি লাফানো, কিন্তু ফিটনেসের জন্য!
হাই নি – হাঁটু উঁচু করে দৌড়ানো, যেন রাস্তায় গরম কয়লা পড়ে আছে!
অ্যাডভান্সড ওয়ার্কআউট
ক্ল্যাপিং পুশ-আপ – সাধারণ পুশ-আপ তো অনেক করেছেন, এবার তালি বাজিয়ে করুন
বক্স জাম্প – উঁচু বাক্সে লাফানো!
কিভাবে শুরু করবেন?
১. ২০ সেকেন্ড: পুরো শক্তি দিয়ে ব্যায়াম
২. ১০ সেকেন্ড: জিরান (হাঁপাতে পারেন, কেউ দেখছে না!)
৩. ৮ বার: রিপিট করুন ৪. সপ্তাহে ৩ দিন: এই রুটিন follow করুন
সতর্কতা
খালি পেটে করবেন না (পেট খালি রাখা যায় নাকি!)
পানি খাবেন প্রচুর (বিরিয়ানি নয়!)
শরীর খারাপ লাগলে বিশ্রাম নিন (এটা অজুহাত নয়, সত্যিই বিশ্রাম নিন)
শেষ কথা
মনে রাখবেন, রাতারাতি শাহরুখ খান বা দীপিকার মতো বডি পাওয়া যাবে না! ধীরে ধীরে, নিয়মিত অভ্যাস করুন। আর হ্যাঁ, আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে হাসতে ভুলবেন না – শরীর ফিট রাখার চেয়েও বেশি জরুরি মন ফিট রাখা!
আপনার ফিটনেস জার্নি শুরু করার জন্য আজই শুরু করুন। কারণ কাল থেকে শুরু করা মানে কখনোই শুরু না করা!